ভয়েজার -১ ও ভয়েজার- ২ 🌌✨

মহাশূন্যে ভ্রমণরত: আমাদের প্রতিনিধি

একটি সময়ের গল্প, যখন মানবজাতি মহাশূন্যের অজানা রহস্য উদ্ঘাটনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল। সেই প্রয়াসে, ১৯৭৭ সালে, নাসা দুটি মহাকাশযান প্রেরণ করেছিল—ভয়েজার ১ এবং ভয়েজার ২। তাদের মিশন ছিল সৌরজগতের বৃহৎ গ্রহসমূহের তথ্য সংগ্রহ করা এবং সম্ভব হলে আরও দূরে পাড়ি জমানো।

ভয়েজার -১: মহাশূন্যের দূরতম প্রান্তে |

ভয়েজার- ১ প্রথমে বৃহস্পতি এবং শনি গ্রহের তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর, এটি সৌরজগতের সীমানা পেরিয়ে ২০১২ সালে আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাশূন্যে প্রবেশ করে। বর্তমানে, এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫.৪ বিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থান করছে। সম্প্রতি, ২০২৪ সালের অক্টোবরে, ভয়েজার ১-এর সাথে যোগাযোগে সমস্যা দেখা দেয়। তবে, নাসার বিজ্ঞানীরা ১৯৮১ সাল থেকে অব্যবহৃত একটি রেডিও ট্রান্সমিটার পুনরায় সক্রিয় করে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করতে সক্ষম হন।

ভয়েজার-২: অনন্য অভিযাত্রী |

ভয়েজার-২ একমাত্র মহাকাশযান যা ইউরেনাস এবং নেপচুন গ্রহের নিকট দিয়ে উড়ে গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করেছে। এটি ২০১৮ সালে আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাশূন্যে প্রবেশ করে। বর্তমানে, ভয়েজার ২ পৃথিবী থেকে প্রায় ১৪০.৩২ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট (AU) দূরে অবস্থান করছে, যা প্রায় ১৩ বিলিয়ন মাইলের সমান।

স্বর্ণের রেকর্ড: পৃথিবীর বার্তা |

উভয় ভয়েজার মহাকাশযানে একটি করে গোল্ডেন রেকর্ড" সংযুক্ত রয়েছে। এই রেকর্ডে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় শুভেচ্ছা বার্তা, সঙ্গীত, প্রাকৃতিক শব্দ এবং ছবি সংরক্ষিত আছে। উদ্দেশ্য ছিল, যদি কোনো বুদ্ধিমান প্রাণী এই মহাকাশযানগুলো পায়, তারা আমাদের সংস্কৃতি ও সভ্যতা সম্পর্কে ধারণা পাবে। এই রেকর্ডে বাংলা ভাষায়ও একটি শুভেচ্ছা বার্তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা বলে: শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা।

আমাদের দূতেরা

ভয়েজার- ১ এবং- ২ কেবলমাত্র যন্ত্র নয়; তারা আমাদের কৌতূহল, জ্ঞানপিপাসা এবং অজানাকে জানার আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। মহাশূন্যের অজানা পথে তারা আমাদের দূত হিসেবে ভ্রমণ করছে, বহন করছে আমাদের বার্তা এবং সংস্কৃতি, হয়তো কোনো একদিন কোনো দূরবর্তী সভ্যতার কাছে পৌঁছে যাবে।

বিখ্যাত ওয়াও (WOW)সংকেত

পৃথিবীতে পাঠনো এলিয়েনদের প্রথম সংকেত ?

🏠 Home